

১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে আস্তানা গাড়ার পর – অর্থাৎ গত ৭৫ বছরে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি ইসরাইল।
শনিবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে আকস্মিক ও নজিরবীহিন যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, তা এক কথায় কল্পনারও অতিত।
১৫ বছর আগে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিন্তু এই ১৫ বছরে তারা কখনো এ ধরনের কোনো কিছু করেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুগ যুগ ধরে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা দেখেও না দেখার ভান করছে। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার।
ফিলিস্তিনিদের এ পুঞ্জিভূত ক্ষোভ শনিবার সকালে যেন একসঙ্গে উগড়ে পড়ল ইসরাইলের ওপর। ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ে হামাস।
গাজা থেকে ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলি সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইরান ইসরাইলের ওপর ফিলিস্তিনিদের এ হামলাকে সমর্থন করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা রহিম সাফাভি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএকে বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিন ও জেরুজালেম স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাশে থাকবো।ইরাক, ইয়েমেন ও জর্ডানে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল হয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, কোনো ধরণের উস্কানি ছাড়া হামাস জঙ্গিদের ইসরাইলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলায় ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানাচ্ছে।
শনিবার ভোরে নজির বিহীন এক হামলায় ঘুম ভেঙেছে ইসরাইলিদের। তারপর থেকে আতঙ্ক আর অবিশ্বাসের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দেশটির প্রতিটি মানুষ। গাজা থেকে হামাসের মুহুর্মুহু রকেট হামলায় সেখানে অন্তত ২৫০ জন নিহত এবং ৭৪০ জন আহত হয়েছেন।
হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের এসদেরত নগরীতে ঢুকে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়। এসব ছবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে আসতে শুরু করেছে।
হামাসের এই হামলার জবাব দিতে গাজায় ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে গাজায় ১৭টি সামরিক আস্তানা এবং হামাসের চারটি অপারেশনাল হেডকোয়ার্টারে হামলা চালানোর কথা জানানো হয়।
ইসরাইলের হামলায় গাজায় ২৩০ জন নিহত এবং এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এসএম