Uncategorized

কানাডাকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের  

জি-২০ সম্মেলনেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে সরাসরি কিছু একটা হতে যাচ্ছে। সেইসময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে তিরস্কার করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের ওপর খালিস্তানপন্থী সমর্থকদের হামলা ও দেশটিতে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে ট্রুডোকে সরাসরি তার অসুন্তষ্টি কথা জানান মোদি। এরপর ভারত থেকে জাস্টিন ট্রুডো যখন দেশে ফিরলেন সেইসময়ে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করে কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি স্থগিত করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, রাজনৈতিক ইস্যুতে কানাডা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এরপর গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রথম বিস্ফোরক দাবি করেন ট্রুডো। পার্লামেন্টে সেইদিন তিনি বলেন, কানাডার শিখ নেতা হারদিপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে। 

কানাডার হাউজ অব কমন্সের সভায় ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা হারদিপ হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে। ট্রুডোর এমন দাবির পরেই কানাডা ভারতীয় এক শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।

ট্রুডোর এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। তারাও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কানাডার একজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এতেই ক্ষ্রান্ত হয়নি ভারত, গত বৃহস্পতিবার কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে। সেইসঙ্গে ভারতে কানাডার কূটনীতিবিদের সংখ্যা কমাতে হবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।  

এবার জাস্টিন ট্রুডোর কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিকাশ স্বরুপ। এসময় তিনি সত্য প্রকাশ্যের মাধ্যমে চলমান উত্তেজনা কমাতে কানাডাকে আহ্বান জানান। 

২০১৭-১৯ সাল পর্যন্ত কানাডায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিকাশ ট্রুডোর সরকারকে বলেন, দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সবাই নির্দোষ। কানাডা তার মাটিতে সহিংস খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের স্থান দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত হবে।

সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেছেন, আমার কোনো ধারণা নেই কানাডার সরকার কেন এমনটি করল। তারা যেসব অভিযোগ করেছে আমি প্রত্যাখ্যান করছি। সত্যটা প্রকাশ্যে আসুক। 

দুই সরকারের মধ্যে ক্রমাগত আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক পর্যায়ে বিষয়টি সমাধান করা যেত বলে জানান বিকাশ স্বরূপ। এসময় তিনি আরও বলেছেন, কানাডার উচিত তাদের এ পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে আসা এবং ট্রুডোর অভিযোগ গভীরভাবে পর্যালোচনা করা।



Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button