Uncategorized

মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহত বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়েছে – The Dhaka Times

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মরক্কোতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহত বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়েছে 1

ভূমিকম্পের এই ঘটনায় ১৫৩ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিক এই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি, এটি ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আল-হাউজ, মারাকেচ, আজিলাল, কোয়ারজাজাতে, চিচাওয়া এবং টারোডেন্ট এলাকায় ভূমিকম্পে এই প্রাণহানির ঘটনা হয়েছে। আহত ১৫৩ জন এইসব এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই মন্ত্রণালয়।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে পুরাতন মারাখেস শহরটিতে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। এই শহরটিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। স্থানীয় টেলিভিশনে ভাঙা গাড়ির ধ্বংসস্তূপসহ একটি পতিত মসজিদ মিনারের ছবিও দেখানো হয়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র:




Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button