
চলতি অর্থবছরের শুরুতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও ধীর হয়ে পড়েছে। গত জুলাইতে এ খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে, যা গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনী বছরে সবাইকে ঋণ দিতে চাচ্ছে না ব্যাংক, আবার রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে উদ্যোক্তারা নতুন করে বিনিয়োগে আসতে যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে যারা ঋণ নিতে চান, তাদের অনেককে ব্যাংক ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। আবার যাদের ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংক, তারা আপাতত ঋণ নিতে চাচ্ছে না। এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ভাটা পড়েছে। আর বেসরকারি খাতে ঋণ কম যাওয়া মানে দেশে বিনিয়োগ কম হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যও কমে যাচ্ছে। দেশের কর্মসংস্থান ও সাধারণ মানুষের আয় কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। আগের মাস জুনে এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি ঋণ ছিল ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানেই ঋণ বিতরণ ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা কমেছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি ঋণ কমে যাওয়া কাক্সিক্ষত নয়। বেসরকারি খাতের ঋণ কমে যাওয়া মানে বিনিয়োগ কমে যাবে। যখন বিনিয়োগ কম হবে তখন কর্মসংস্থানও কমে যাবে এতে করে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।