Uncategorized

তাসকিন-শরিফুলের আঘাতেও জয়ের পথে পাকিস্তান

বাবর আজমকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দারুণ বল করেছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। ৭৪ রানের মধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছেন ফখর জামান ও বাবর আজমকে। ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৪ রানের ছোট লক্ষ্যে জয়ের কক্ষপথেই আছে পাকিস্তান।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১০৫ রান। উইকেটে আছেন ইমাম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। জয়ের জন্য এখনো দরকার ৮৯ রান। 

পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ৫ম ওভার শেষেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। মাঠ ছেড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। মূলত, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট যথাযথ কাজ না করায়ই মূলত মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়রা। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় খেলা। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য দেখে দশম ওভারে। শরিফুলের করা ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারের প্রথম ওই বলে ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন ফখর জামান। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২০ রান করে ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ।

ফখরের বিদায়ের পর বাবর আজমকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন ইমাম। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে ৭৪ রানের মাথায় তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন বাবর। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে ইমামকে আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। এরপর জুটি গড়েন ইমাম ও রিজওয়ান।

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফদের গতির আগুনে পুড়ে ১১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস।

পাকিস্তানের বোলিং স্পেল শাহীন ও নাসিম শুরু করলেও অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন গতিময় পেসার হারিস রউফ। এসেই তোপ দাগেন বাংলাদেশ শিবিরে। দারুণ খেলতে থাকা মোহাম্মদ নাঈমকে কট এন্ড বল করেন হারিস। দশম ওভারে হারিসের করা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আবারও বাংলাদেশের উইকেট পতন। এবার তাওহীদ হৃদয়কে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দলকে এরপর টেনে তোলেন সাকিব-মুশফিক। দুজনে মিলে কাটায় কাটায় ১০০ রানের জুটি গড়েন।

১৪৭ রানে সাকিবের পতনের পর (৫৩) পর শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। ১৭৪ রানের শামীমের পতনের পর শুরু হয় মড়ক। ১৯ রান তুলতেই হারায় শেষ ৫ উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

৬ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন হারিস। ৫ ওভার ৪ বল করে নাসিমের উইকেট সংখ্যা ৩টি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন, ইফতিখার আহমেদ এবং ফাহিম আশরাফ।



Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button