ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন ডাক্তার ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন, হাসপাতালের স্টাফ ও চট্টগ্রাম সদরের ভোলানাথের ছেলে অর্ণব (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার মাহমুদুল (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার শামিম (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার রোকন(২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার শিহাব (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার এজাজ (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার মহিন (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার শাকিব (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার পাভেল (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার ইসতেফার (২৪), ইন্টার্ন ডাক্তার জাহিদ (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার সাব্বির (২৬), ইন্টার্ন ডাক্তার ফরহাদ (২৬) আহত হন। তারা সকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রাবাসে থাকেন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, সোমবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়ন খান নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরে তিনি মারা যান। এই নিয়ে ডাক্তার ও স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মৃত ব্যক্তি নয়ন খানের বাড়ি হাসপাতালের নিকটে হওয়ায় তাদের আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালে এসে ডাক্তার ও স্টাফদের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম, এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। আহতরা আশঙ্কা মুক্ত। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনদেরকে থানায় আনা হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা স্বাভাবিক রয়েছে। ডাক্তাররা সকালে মিটিংয়ে বসেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, প্রতিদিনই কম-বেশি ঝামেলা হয়। আমি হাসপাতালে বাইরে আছি। ছুটিতে আছি। তবে মারামারির কথা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গণপিটুনিতে আহত হাজতির মৃত্যু
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ