

সংসদ সদস্যদের মানুষের সেবায় নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস ও রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের সেবা করার মধ্যেই সব থেকে বড়, এর থেকে বড় কিছু নেই। রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটাই হচ্ছে সব থেকে বেশি দরকার। সংসদ সদস্যরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম একেবারে তৃণমুল পর্যায়ে পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম একেবারে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে সংসদ সদস্যরা অত্যান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজকে বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে। সেখানে প্রত্যেকেই নিবেদিত প্রাণ হয়ে নিজের এলাকায় মানুষের সেবা করবেন, এটাই আমি চাই।’
প্রয়াত সংসদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই সংসদে ২৮ জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬ জন এবং জাতীয় পার্টির ২ জন। ভেবেছিলাম সংসদের এই অধিবেশনে কোনো শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে না। কিন্তু তা হলো না। ছাত্র রাজনীতিতে থাকাকালে প্রয়াত রেবেকা মমিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। রেকেবা মমিন আমার পত্র বন্ধু ছিলেন। সে আমাকে চিঠি দিত, আমিও দিতাম। সে তার চিঠিতে সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা লিখত। তার সাথে আমার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করতাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং অত্যন্ত সাহসী নেতা। আসলে এই সংসদে আমাদের বহু নেতাকে হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের এই নেতাদের অনেকের ওপরই অকথ্য অত্যাচার হয়েছে।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আশরাফ আলী খান খসরু, সাজ্জাদুল হাসান, জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়াসিকা আয়শা খান, শফিকুল ইসলাম শিমুল, আব্দুল আজিজ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা।