Uncategorized

সংসদ সদস্যদের আন্তরিকতায় উন্নয়ন তৃণমূলে পৌঁছেছে

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে হবে। সেটা সবাই নিবেদিত প্রাণ হয়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষের সেবা করে যাবেন এটাই আমি চাই। মানুষের সেবা করাটাই সব থেকে বড় পাওয়া। এর চেয়ে বড় কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমাদের উন্নয়নের ধারা একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নাটোর-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও নেত্রকোনা-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে এদিন সংসদে শোক প্রস্তাব তোলা হয়।

সংসদ নেতা বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের সংসদের অধিবেশন শুরুই করতে হয় শোক প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে। ভেবেছিলাম এবার বোধ হয় তার থেকে ব্যতিক্রম হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এই সংসদের ২৮ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। যেখানে ২৬ জনই আওয়ামী লীগের। আর দুইজন জাতীয় পার্টির। এর মধ্যে কয়েকজন নারী সদস্যও রয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকে যাদের হারিয়েছি এবং সেখানে নতুন যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তাদের কাছে আবেদন থাকবে যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।

আব্দুল কুদ্দুসকে স্মরণ করে তিনি বলেন, আব্দুল কুদ্দুস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ করতেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন। নাটোর ছিল সন্ত্রাসের জায়গা। তিনি সেখানে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তাকে জবরদস্তি করে হারানো হয়েছিল। তিনি জনগণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।

রেবেকা মমিনকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেবেকা মমিনের সঙ্গে আমার ছাত্রজীবন থেকে পরিচয় ছিল। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন ছাত্রী তখন থেকেই তিনি আমাকে সবসময় চিঠি লিখতেন। আমিও উত্তর দিতাম। তিনি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলতেন। আমি কলেজে ভিপি হওয়ার পর চিঠি দিয়ে উৎসাহিত করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন জোট করি- তিনি তার আসনটি বেগম রওশন এরশাদকে ছেড়ে দেন। তিনি যে কত বড় নেতা ছিলেন, যে মুহূর্তে আমি তাকে বললাম জোট করব এ সিটটি ছাড়তে হবে। তিনি এক মুহূর্তের জন্যও আপত্তি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে সিটটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। না হলে তিনি এখন ওই সিটের এমপি থাকতেন।

শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়সিকা আয়শা খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাজ্জাদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শিমুল, আশরাফ আলী খান খসরু, আব্দুল আজিজ, মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই



Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button